দুর্যোগ প্রশমন, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও অবকাঠামো উন্নয়ন পদক্ষেপ/ব্যবস্থাঃ
![]() |
| দুর্যোগ প্রশমন |
ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় যন্ত্রপাতি ক্রয় 'Procurement of Equipment for Search Rescue Operation on Earthquake & Other Disasterss' প্রকল্পের ২য় ফেজে ১৫,৩৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেসকিউ ভেহিকেল, পিকআপ, রিচার্জেবল সার্চলাইট, ফোল্ডেবল স্ট্রেচার, বডিব্যাগ, ফেস/গ্যামমাস্ক,রেসকিউ ইক্যুইপমেন্ট ফর ভলান্টিয়ার্স ও সার্চ ক্যামেরা ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া ECRRP-D প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় জরুরী সাড়া প্রদানের জন্য ১২টি পিকআপ ভ্যান,সিডর বিধ্বস্ত ১২টি জেলা ও ৩৫টি উপজেলায় ব্যবহারের জন্য মেগাফোন সাইরেন সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স, ১২টি স্মল মেরিন রেসকিউ বোট এবং ৪টি Rough Sea Aquatic Search & Rescue Boat ক্রয় করে উপকূলীয় ১২টি জেলা প্রশাসন, কোষ্ট গার্ড ও র্যাবকে দেয়া হয়েছে। ১৩টি স্যাটেলাইট ফোন ক্রয় করা হয়েছে, যা উপকূলীয় ১৩টি জেলা প্রশাসনে হস্তান্তর করা হয়ে।
ঢাকা ও সিলেট শহরে আরবান রেজিলিয়েন্ট প্রকল্পের আওতায় ভূমিকম্পজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮১ কোটি টাকা জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যের সঙ্গে সম্পৃক্তদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। অবশিষ্ট অর্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট স্থাপন ও NDRCC শক্তিশালী করণ খাতে ব্যয় করা হবে।
ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে স্থাপিত NDRCC শক্তিশালী করণের কাজ চলছে এবং NDMRTI এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ১৯টি উপজেলার দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে লবণাক্ত পানির পরিবর্তে নিরাপদ লবণাক্ততামুক্ত খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জাপান সরকারের ১৮,৯০৫.৬০ লক্ষ টাকা অনুদানে ‘প্রকিউরমেন্ট অব স্যালাইন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (২ টন মাউটেন্ট)' প্রকল্পটি বাস্তবায়িক হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় লবণাক্ত পানি পরিশোধনের জন্য ৩০টি স্যালাইন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সংগৃহীত হয়েছে, যার প্রতিটি ২ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাকের উপরে স্থাপিত।
গ্রামীণ রাস্তায় জলাবদ্ধতা দূর করা এবং যোগযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সম্পদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৬১টি জেলার ৪৯০টি উপজেলায় ৪,৮০৪টি (৪৭,৫৩০ মিটার) ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
চলমান ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫,৬৪৬টি সেতু/কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। জানুয়ারি ২০১৬ হতে শুরু হয়ে প্রকল্পটি জুন ২০১৯ পর্যন্ত চলবে এবং সর্বমোট ১২,৯৯৩টি সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত পাঁচ বছরে পার্বত্য এলাকায় ৫০৭টি ছোট ছোট (১২ মিটার পর্যন্ত) ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ডিসেম্বর ২০১৬ বছরে সমাপ্ত এ প্রকল্পে ৩টি পার্বত্য জেলার ২৫টি উপজেলায় ১৯টি ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
