টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা।
রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি
জানান, শিশুটির মা সাহিদা হাসপাতালে পুলিশকে জানান, তিনি তার দুই শিশুকে
বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। এরপর সে চলন্ত সিলিং ফ্যানের সঙ্গে
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হঠাৎ ফ্যানের সাথে মেঝেতে
লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
এসপি আরও বলেন, তৃতীয় কোনো ব্যক্তি
সাহিদাকে তার নিজের ছেলেদের হত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে
দেখতে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ
ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শিশুটির বাবা ইউসুফ বলেন,
"আমার কেউ বেঁচে নেই। সে আমার ছেলেদের হত্যা করেছে। আমি তার শাস্তি চাই।
তাকে কেবল শয়তানের সাথে তুলনা করা যায় কারণ সে তার নিজের সন্তানদের হত্যা
করেছে।" রোববার দুপুরে ভূঞাপুরের একটি বাড়ি থেকে দুই ভাইবোনের মরদেহ
উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের মা সাহিদা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার
করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ দেখতে
পায়, বেডরুমের মেঝেতে একটি সিলিং ফ্যান পড়ে আছে। তখন ধারণা করা হয়,
সিলিং ফ্যান পড়ে বাচ্চাগুলো মারা গেছে।
দুই ভাইয়ের মধ্যে মোঃ
সাজিমের বয়স ছয় বছর এবং মোঃ সানির বয়স চার মাস। তাদের বাবা ওই এলাকায়
ভ্যানচালক। বাচ্চাদের দাদি সুরজো বানু বলেন, "ওরা ঘুম থেকে জেগে না ওঠায়
রাত ১১টার দিকে আমি ওদের ডাকতে যাই। পরে দেখি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দেখতে
পেয়ে আমার সন্দেহ হয়। তারা কেউই আমার ডাকে সাড়া দেয়নি। তারপর আমি আমার
প্রতিবেশীদের সাহায্যে ঘরে প্রবেশ করি।"
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) জানান, শিশুদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট
হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। "বেড রুমের ভিতরে একটি ভাঙা সিলিং ফ্যান এবং
ফ্যানের রক্তমাখা ব্লেড পাওয়া গেছে। আমরা অনুমান করেছিলাম যে ফ্যানের
গায়ে পড়ে শিশুরা মারা গেছে।"
এসপি আরো জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মা সাহিদা কয়েকদিন ধরে তার দুই ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করছিলেন
Tags
বাংলাদেশ
