![]() |
| পরিবেশ দূষণ |
অপরিকল্পিত এবং যথেচ্ছার জীবনযাপন, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, যানবাহন ও শিল্পাঞ্চল ইত্যাদির ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য অধিক বাসস্থান ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে হচ্ছে। গাছপালা ও বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে।
পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং খাদ্য-শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটছে। পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষ ও জীবজন্তুর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ ক্যান্সার, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের মতো নিম্নাঞ্চল ভবিষ্যতে পানিতে তলিয়ে যাবে।
পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। বনায়নের পরিমাণ বাড়াতে হবে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের আয়তনের শতকরা ৩০ ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। উদ্বেগের বিষয় হলো, আমাদের দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণ শতকরা ৭ ভাগ, যা ধীরে ধীরে কমছে।
অতএব পরিকল্পিতভাবে বনজ, ফলজ ও ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। কল-কারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে এবং রি-সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্যানারির বর্জ্য যেন পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
চাষাবাদে অজৈব সার অর্থাৎ রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। উদ্ভিদ সংরক্ষণে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈবিক, যান্ত্রিক এবং চাষাবাদ পদ্ধতির পরিবর্তন ইত্যাদির মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটি দূষণেরহাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেসব কারণে শব্দদূষণ হয়ে থাকে, তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তুত পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চাইলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।
