জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্লন' উপনাসের কাহিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। কাহিনির স্থিতিকাল মাত্র তিন দিন পুহ মাতাম দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কাহিনির সূচনা। প্রথম দিন রাত এবং দ্বিতীয় দিন ও রাত ধরে চলেছে একুশে ফেয়ার শেম। | বিরামহীন প্রস্তুতি। ততীয় দিন কাহিনির চড়ান্তকাল। মিছিল এবং পুলিশের সংঘর্ষের মাধ্যমে অতিক্রত হয়েছে তা | কালাত। অতঃপর দিনের শেষে কারাতেরণ প্রাঙ্গণে কাহিনির পরিসমাপ্তি। সেই জন্য কাহিনির ব্যাপ্তিকাল সীমিত। আরেক ফাল্গুন উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনিম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা। জহির রায়হান সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতিময়তার | সাথে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া প্রতিবাদী চেতনার এক অপূর্ব সম্মেলন ঘটান এ উপন্যাসের সূচনাপর্বে। স্বৈরাচারী সরকারের সকল বাধাকে উপেক্ষা করে শহীদ দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে মুনিমের মতাে আসাদ, | সালমা, নীলা, রান, বেনু, রাহাত, কবি রসুল দিন-রাত কাজ করে যায়। পােস্টার ও লিফলেট ছাপানাে, কালাে ব্যাজ বিতরণ, | স্লোগান ও অন্যান্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সকলেই অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত এবং সক্রিয় ছিল। মূলত সবধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে | ছাত্রসমাজ কীভাবে রুখে দাঁড়ায় এবং আপন স্বার্থকে তুচ্ছ করে প্রতিবাদ ও প্রতিরােধে কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে, তার | একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্র প্রতিফলিত হয় পুরাে উপন্যাস জুড়ে। তবে শুধু আন্দোলনের চিত্র নয়, একইসাথে মানুষের স্মৃতিকাতর। মন, প্রিয়জন হারানাের বেদনা, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার প্রেম-ভালােবাসা ও হৃদয়ঘটিত দুর্বলতাসহ বিচিত্র অনুভূতির চিতায়ন | ঘটেছে এই উপন্যাসে। জহির রায়হানের জীবন দৃষ্টি রােমান্টিক। আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসে এই রােমান্টিক দষ্টির তলায় | ঘটিয়েছেন তিনি সফলভাবে। রাজনৈতিক পটভূমিতে এটি রচিত হলেও এতে প্রণয় উপেক্ষিত নয়। উপন্যাসের মল করে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য উপ-কাহিনি। প্লট সংগঠনে লেখকের নৈপুণ্য সর্বত্র রক্ষিত হয়নি। চরিত্র অনসাৰে ভায়ালে | লেখক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সর্বােপরি, বণনার আবেগের সঙ্গে ঘটনার প্রবহমানতা একাত করে জহির রায় আন্দোলনের তথা একুশের প্রথম উপন্যাস রচনা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। • জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯৫, মজপুর গ্রাম ফেনী।
জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্লন' উপনাসের কাহিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। কাহিনির স্থিতিকাল মাত্র তিন দিন পুহ মাতাম দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কাহিনির সূচনা। প্রথম দিন রাত এবং দ্বিতীয় দিন ও রাত ধরে চলেছে একুশে ফেয়ার শেম। | বিরামহীন প্রস্তুতি। ততীয় দিন কাহিনির চড়ান্তকাল। মিছিল এবং পুলিশের সংঘর্ষের মাধ্যমে অতিক্রত হয়েছে তা | কালাত। অতঃপর দিনের শেষে কারাতেরণ প্রাঙ্গণে কাহিনির পরিসমাপ্তি। সেই জন্য কাহিনির ব্যাপ্তিকাল সীমিত। আরেক ফাল্গুন উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনিম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা। জহির রায়হান সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতিময়তার | সাথে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া প্রতিবাদী চেতনার এক অপূর্ব সম্মেলন ঘটান এ উপন্যাসের সূচনাপর্বে। স্বৈরাচারী সরকারের সকল বাধাকে উপেক্ষা করে শহীদ দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে মুনিমের মতাে আসাদ, | সালমা, নীলা, রান, বেনু, রাহাত, কবি রসুল দিন-রাত কাজ করে যায়। পােস্টার ও লিফলেট ছাপানাে, কালাে ব্যাজ বিতরণ, | স্লোগান ও অন্যান্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সকলেই অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত এবং সক্রিয় ছিল। মূলত সবধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে | ছাত্রসমাজ কীভাবে রুখে দাঁড়ায় এবং আপন স্বার্থকে তুচ্ছ করে প্রতিবাদ ও প্রতিরােধে কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে, তার | একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্র প্রতিফলিত হয় পুরাে উপন্যাস জুড়ে। তবে শুধু আন্দোলনের চিত্র নয়, একইসাথে মানুষের স্মৃতিকাতর। মন, প্রিয়জন হারানাের বেদনা, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার প্রেম-ভালােবাসা ও হৃদয়ঘটিত দুর্বলতাসহ বিচিত্র অনুভূতির চিতায়ন | ঘটেছে এই উপন্যাসে। জহির রায়হানের জীবন দৃষ্টি রােমান্টিক। আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসে এই রােমান্টিক দষ্টির তলায় | ঘটিয়েছেন তিনি সফলভাবে। রাজনৈতিক পটভূমিতে এটি রচিত হলেও এতে প্রণয় উপেক্ষিত নয়। উপন্যাসের মল করে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য উপ-কাহিনি। প্লট সংগঠনে লেখকের নৈপুণ্য সর্বত্র রক্ষিত হয়নি। চরিত্র অনসাৰে ভায়ালে | লেখক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সর্বােপরি, বণনার আবেগের সঙ্গে ঘটনার প্রবহমানতা একাত করে জহির রায় আন্দোলনের তথা একুশের প্রথম উপন্যাস রচনা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। • জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯৫, মজপুর গ্রাম ফেনী।
